মেয়েদের ব্রেস্ট ঝুলে যাওয়ার কারণ : এটা প্রতিরোধ করা যায় খুব সহযে
মেয়েদের ব্রেস্ট ঝুলে যাওয়ার কারণ
মেয়েদের ব্রেস্ট ঝুলে যাওয়ার কারণ
মেয়েদের ব্রেস্ট ঝুলে যাওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। এটি একটি সাধারণ শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া এবং বয়সের সাথে বা কিছু বিশেষ কারণের জন্য ঘটে থাকে। নিচে কিছু প্রধান কারণ উল্লেখ করা হলো: মেয়েদের ব্রেস্ট ঝুলে যাওয়ার কারণ
- বয়স: বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বকের ইলাস্টিসিটি কমে যায়, ফলে স্তন ঝুলে যেতে পারে।
- গর্ভাবস্থা ও স্তন্যপান: গর্ভাবস্থা এবং স্তন্যপান করার সময় স্তনের আকার পরিবর্তিত হয়। দুধ উৎপাদনের কারণে স্তন ভারী হয়ে যায় এবং স্তন টিস্যু প্রসারিত হয়, যা পরে ঝুলে যেতে পারে।
- ওজন পরিবর্তন: হঠাৎ ওজন বাড়া বা কমা স্তনের আকারে পরিবর্তন আনে এবং ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট করতে পারে, ফলে স্তন ঝুলে যেতে পারে।
- জেনেটিক্স: স্তনের আকার, ত্বকের গঠন এবং ইলাস্টিসিটি অনেকটা জেনেটিক্সের উপর নির্ভর করে।
- অস্বাস্থ্যকর ব্রা ব্যবহার: সঠিক মাপের ব্রা না পরলে স্তনের পর্যাপ্ত সমর্থন না পাওয়ার কারণে ঝুলে যেতে পারে।
- ধূমপান: ধূমপান ত্বকের ইলাস্টিসিটি হ্রাস করে, যা স্তন ঝুলে যাওয়ার একটি কারণ হতে পারে। মেয়েদের ব্রেস্ট ঝুলে যাওয়ার কারণ
- হরমোনাল পরিবর্তন: মেনোপজের সময় হরমোনাল পরিবর্তন ঘটে, যা স্তনের টিস্যুতে প্রভাব ফেলে এবং ঝুলে যেতে পারে।
এটা প্রতিরোধ করা যায়?
স্তনের ঝুলে যাওয়া একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, তবে কিছু সতর্কতা এবং সঠিক জীবনযাত্রার মাধ্যমে এটি প্রতিরোধ বা বিলম্ব করা যেতে পারে। নিচে কিছু টিপস দেওয়া হলো, যা মেনে চললে স্তন ঝুলে যাওয়া কিছুটা প্রতিরোধ করা সম্ভব: মেয়েদের ব্রেস্ট ঝুলে যাওয়ার কারণ
আরো দেখুন …………
-
গর্ভাবস্থায় প্রথম মাসে তলপেটে ব্যথা হয় কেন
-
সাত মাসের বাচ্চার খাবার তালিকা ।এই খাবার গুলো আপনার বাচ্ছাকে রাখবে সুস্থ
1. সঠিক মাপের ব্রা পরা
- স্তনকে সঠিক সমর্থন দেওয়ার জন্য সঠিক মাপের ব্রা পরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত ব্যায়ামের সময় স্পোর্টস ব্রা ব্যবহার করা উচিত, যাতে স্তনের অতিরিক্ত নড়াচড়া রোধ করা যায়।
2. ওজন নিয়ন্ত্রণ
- হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া স্তনের ত্বকে চাপ সৃষ্টি করে, যা ঝুলে যাওয়ার একটি কারণ হতে পারে। তাই নিয়মিত ব্যায়াম এবং সুষম খাদ্যের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। মেয়েদের ব্রেস্ট ঝুলে যাওয়ার কারণ
3. ব্যায়াম
- স্তনের চারপাশের পেশি মজবুত করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট ব্যায়াম যেমন পুশ-আপ, প্ল্যাঙ্ক এবং ভারোত্তোলন করা যেতে পারে। এ ধরনের ব্যায়াম স্তনের গঠন ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
4. হাইড্রেশন এবং সঠিক পুষ্টি
- ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান করা এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন সি, ই এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ত্বককে মজবুত ও নমনীয় রাখতে সাহায্য করে।
5. ধূমপান পরিহার করা
- ধূমপান ত্বকের ইলাস্টিসিটি নষ্ট করে এবং স্তন ঝুলে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে দ্রুত করে। ধূমপান পরিহার করলে ত্বকের গঠন ভালো থাকে এবং স্তনের ঝুলে যাওয়া প্রতিরোধ করা যায়। মেয়েদের ব্রেস্ট ঝুলে যাওয়ার কারণ
6. সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখা
- দাঁড়ানো এবং বসার সময় সঠিক ভঙ্গি (posture) বজায় রাখা উচিত। খারাপ ভঙ্গি স্তনের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে, যা ঝুলে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।
7. সানস্ক্রিন ব্যবহার
- সরাসরি সূর্যের আলো ত্বকের ইলাস্টিসিটি কমিয়ে দিতে পারে, তাই স্তনের ত্বক সুরক্ষার জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহার করা ভালো।
8. ম্যাসাজ
- নিয়মিত স্তনের মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, যা ত্বকের ইলাস্টিসিটি ধরে রাখতে সাহায্য করে।
যদিও স্তনের ঝুলে যাওয়া সম্পূর্ণভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়, এই অভ্যাসগুলো স্তনের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে এবং প্রক্রিয়াটি বিলম্ব করতে সহায়ক হতে পারে। মেয়েদের ব্রেস্ট ঝুলে যাওয়ার কারণ
ব্যায়ামগুলো কী কী?
স্তনের পেশি মজবুত করতে এবং স্তনের ঝুলে যাওয়া প্রতিরোধ করতে কিছু নির্দিষ্ট ব্যায়াম খুব কার্যকরী হতে পারে। যদিও স্তনের নিজস্ব টিস্যুতে পেশি নেই, তবে এর চারপাশে থাকা পেশিগুলোকে শক্তিশালী করলে স্তনের আকার ও গঠন ভালো থাকে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যায়ামের নাম এবং তাদের করার পদ্ধতি দেওয়া হলো:
১. পুশ-আপ (Push-Ups)
কীভাবে করবেন:
- প্ল্যাঙ্ক অবস্থানে আসুন, শরীরের ওজন হাতে এবং পায়ের আঙুলের উপর রাখুন।
- কনুই বাঁকিয়ে শরীর নিচে নামান যতক্ষণ না বুক মাটির কাছাকাছি আসে।
- আবার শরীর উঠিয়ে প্রথম অবস্থানে ফিরে আসুন।
উপকারিতা: পুশ-আপ বুকে, কাঁধে এবং হাতের পেশিকে মজবুত করে, যা স্তনের গঠন ধরে রাখতে সাহায্য করে।
২. চেস্ট প্রেস (Chest Press)
কীভাবে করবেন:
- দুটি ডাম্বেল নিয়ে পিঠে শুয়ে থাকুন, দুই হাত সোজা করে ডাম্বেল উপরে তুলুন।
- কনুই বাঁকিয়ে ডাম্বেলগুলো ধীরে ধীরে বুকের দিকে নামান।
- পুনরায় হাত সোজা করে ডাম্বেল উপরে তুলুন।
উপকারিতা: এই ব্যায়ামটি পেক্টোরাল (pectoralis) পেশি, কাঁধ, এবং হাতের পেশিকে মজবুত করে, যা স্তনকে সাপোর্ট দেয়।
৩. চেস্ট ফ্লাই (Chest Fly)
কীভাবে করবেন:
- পিঠে শুয়ে দুই হাতে ডাম্বেল ধরে রাখুন, হাত সোজা রেখে ডাম্বেলগুলো উপরে তুলুন।
- ধীরে ধীরে হাত দুটো পাশে নিয়ে আসুন, যেন এটি একটি ফ্লাই মুভমেন্ট তৈরি করে।
- পুনরায় হাত সোজা করে উপরে তুলুন। মেয়েদের ব্রেস্ট ঝুলে যাওয়ার কারণ
উপকারিতা: পেক্টোরাল পেশিকে টোন করতে সাহায্য করে, যা স্তনের ঝুলে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
৪. প্ল্যাঙ্ক (Plank)
কীভাবে করবেন:
- কনুই এবং পায়ের আঙুলের উপর ভর দিয়ে প্ল্যাঙ্ক অবস্থানে আসুন।
- সারা শরীর সোজা রাখুন, যেন কাঁধ থেকে পা পর্যন্ত এক সরলরেখায় থাকে।
- এই অবস্থান ২০-৩০ সেকেন্ড ধরে রাখুন, সময়ের সাথে সাথে সময় বাড়ান।
উপকারিতা: প্ল্যাঙ্ক পেশির শক্তি বাড়ায় এবং সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা স্তনের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
৫. ওয়াল প্রেস (Wall Press)
কীভাবে করবেন:
- দেয়ালের সামনে দাঁড়ান এবং দুই হাত দেয়ালে রেখে কাঁধ-প্রস্থে রাখুন।
- কনুই বাঁকিয়ে শরীর দেয়ালের দিকে নামিয়ে নিন।
- পুনরায় শরীর সোজা করে প্রথম অবস্থানে ফিরে আসুন।
উপকারিতা: এটি পুশ-আপের মতোই, তবে দেয়ালের সাহায্যে সহজে করা যায়। এটি বুকে এবং কাঁধের পেশিগুলোকে শক্তিশালী করে।
৬. ভার্টিকাল আর্ম লিফট (Vertical Arm Lift)
কীভাবে করবেন:
- সোজা দাঁড়িয়ে দুটি হালকা ওজনের ডাম্বেল হাতে নিন।
- দুই হাত সোজা করে মাথার উপর তুলুন।
- ধীরে ধীরে হাতগুলো নিচে নামান এবং প্রথম অবস্থানে ফিরে আসুন।
উপকারিতা: এই ব্যায়াম কাঁধ ও বুকে শক্তি যোগায় এবং স্তনের পেশি টানটান রাখে।
৭. ক্যাবল ক্রসওভার (Cable Crossover)
কীভাবে করবেন:
- একটি ক্যাবল মেশিন ব্যবহার করে দুই হাত ধরে মেশিনের হাতলগুলো সামনে আনুন।
- কাঁধ থেকে নিচে স্তরের দিকে হাতগুলো সামনে নিয়ে আসুন।
- পুনরায় প্রথম অবস্থানে ফিরে যান। মেয়েদের ব্রেস্ট ঝুলে যাওয়ার কারণ
উপকারিতা: এই ব্যায়াম পেক্টোরাল পেশি এবং কাঁধের পেশিগুলোকে লক্ষ্য করে এবং স্তনের পেশি মজবুত করতে সহায়ক।
পরামর্শ:
- ব্যায়ামের পাশাপাশি, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত শরীরচর্চা স্তনের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- ব্যায়ামের সময় সঠিক ফর্ম বজায় রাখা জরুরি, তাই প্রয়োজনে কোনো প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিন। মেয়েদের ব্রেস্ট ঝুলে যাওয়ার কারণ
প্রতিদিন কতক্ষণ করতে হবে?
স্তনের পেশি মজবুত করার জন্য এবং স্তনের ঝুলে যাওয়া প্রতিরোধে ব্যায়াম প্রতিদিন করতে হলে ২০-৩০ মিনিট সময় যথেষ্ট। তবে এটি আপনার সময় এবং শারীরিক সক্ষমতার উপর নির্ভর করে। প্রতিদিন এই সময়টা ভাগ করে কিছু নির্দিষ্ট ব্যায়াম করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যেতে পারে। মেয়েদের ব্রেস্ট ঝুলে যাওয়ার কারণ
ব্যায়াম পরিকল্পনা:
- প্রতিদিনের সময়: ২০-৩০ মিনিট
- ব্যায়ামের ফ্রিকোয়েন্সি: সপ্তাহে ৩-৫ দিন
- প্রতিটি ব্যায়ামের সংখ্যা: ২-৩ সেট, প্রতি সেটে ১০-১৫ বার (repetitions)
উদাহরণ:
১. দিন ১ (২০-৩০ মিনিট):
- ১০-১৫টি পুশ-আপ (৩ সেট)
- ১০-১২টি চেস্ট প্রেস (৩ সেট)
- ১০-১২টি চেস্ট ফ্লাই (৩ সেট)
- প্ল্যাঙ্ক (প্রথমে ২০ সেকেন্ড ধরে রাখুন, সময়ের সাথে ৩০ সেকেন্ড বা ১ মিনিট পর্যন্ত বাড়াতে পারেন)
২. দিন ২ (২০-৩০ মিনিট):
- ১০-১৫টি ওয়াল প্রেস (৩ সেট)
- ১০-১২টি ভার্টিকাল আর্ম লিফট (৩ সেট)
- ক্যাবল ক্রসওভার (প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম থাকলে)
- প্ল্যাঙ্ক
বিশ্রামের দিন:
ব্যায়াম করার মাঝে ১-২ দিন বিশ্রাম রাখা জরুরি, যাতে পেশিগুলো পুনরুদ্ধার এবং মজবুত হতে পারে। এই বিশ্রামের সময়, আপনি হালকা স্ট্রেচিং বা যোগব্যায়াম করতে পারেন। মেয়েদের ব্রেস্ট ঝুলে যাওয়ার কারণ
ব্যায়াম ছাড়া সমাধান?
ব্যায়াম ছাড়া স্তনের ঝুলে যাওয়া প্রতিরোধ বা কমানোর কিছু উপায় আছে, যদিও ব্যায়ামই সবচেয়ে কার্যকর একটি সমাধান। তবে জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন এবং কিছু অভ্যাস অনুসরণ করে স্তনের ইলাস্টিসিটি ও আকার কিছুটা ধরে রাখা সম্ভব। নিচে কিছু বিকল্প পদ্ধতির উল্লেখ করা হলো: মেয়েদের ব্রেস্ট ঝুলে যাওয়ার কারণ
১. সঠিক মাপের ব্রা পরা
- স্তনের জন্য সঠিক মাপের ব্রা পরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাপোর্টিভ ব্রা বিশেষ করে স্পোর্টস ব্রা ব্যবহার করলে স্তনের ঝুলে যাওয়া অনেকটা প্রতিরোধ করা যায়।
- সঠিক সাপোর্ট ছাড়া ভারী স্তন ঝুলে যেতে পারে, তাই ব্রার মান ও মাপ ঠিক আছে কিনা নিশ্চিত করুন। মেয়েদের ব্রেস্ট ঝুলে যাওয়ার কারণ
২. ওজন নিয়ন্ত্রণ
- ওজন দ্রুত বাড়ানো বা কমানো স্তনের আকারে প্রভাব ফেলে। বারবার ওজন ওঠা-নামা করলে ত্বক প্রসারিত ও সংকুচিত হয়, ফলে ইলাস্টিসিটি কমে যায় এবং স্তন ঝুলে যেতে পারে।
- সুষম খাদ্য এবং পরিমিত খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।
৩. হাইড্রেশন ও পুষ্টি বজায় রাখা
- ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি। ডিহাইড্রেশন ত্বককে শুষ্ক এবং দুর্বল করে তোলে, যা স্তনের ঝুলে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।
- ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে ভিটামিন সি, ই, এবং কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার যেমন কমলা, বাদাম, মাংস, ডিম এবং সবুজ শাকসবজি খাওয়া উচিত। মেয়েদের ব্রেস্ট ঝুলে যাওয়ার কারণ
৪. ধূমপান পরিহার করা
- ধূমপান ত্বকের ইলাস্টিসিটি কমিয়ে দেয়, যা স্তনের ঝুলে যাওয়ার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে একটি। তাই ধূমপান এড়িয়ে চলা স্তনের স্বাস্থ্য ধরে রাখার জন্য জরুরি।
৫. সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখা
- সঠিকভাবে দাঁড়ানো এবং বসা (ভাল posture) স্তনের উপর অতিরিক্ত চাপ প্রতিরোধ করে এবং স্তনের গঠন বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- সবসময় সোজা হয়ে বসা এবং হাঁটা উচিত যাতে পিঠ ও কাঁধ সঠিক ভঙ্গিতে থাকে। খারাপ posture স্তনের ঝুলে যাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে।
৬. স্তনের যত্নে নিয়মিত তেল মালিশ করা
- স্তনের ত্বকে তেল বা ময়েশ্চারাইজার দিয়ে নিয়মিত মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখতে সাহায্য করে। অলিভ অয়েল, নারকেল তেল বা আলমন্ড তেল ব্যবহার করতে পারেন।
- তেল ম্যাসাজ ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখতে সহায়ক এবং স্তনের ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখতে পারে। মেয়েদের ব্রেস্ট ঝুলে যাওয়ার কারণ
৭. সানস্ক্রিন ব্যবহার করা
- সূর্যের অতিরিক্ত রশ্মি ত্বকের ইলাস্টিসিটি কমিয়ে দেয়। তাই বাইরে যাওয়ার সময় স্তনের উপর সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত, বিশেষত যদি আপনি এমন পোশাক পরেন যা স্তন প্রদর্শিত হয়।
৮. সার্জারি (প্রয়োজন হলে)
- যদি স্তনের ঝুলে যাওয়া খুব বেশি হয় এবং আপনি দ্রুত ফলাফল চান, তাহলে প্লাস্টিক সার্জারি (ব্রেস্ট লিফট) একটি সমাধান হতে পারে। এটি একটি স্থায়ী সমাধান, তবে এর সাথে ঝুঁকি ও খরচ জড়িত থাকে।
- এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই একজন দক্ষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। মেয়েদের ব্রেস্ট ঝুলে যাওয়ার কারণ
সারসংক্ষেপ:
- সঠিক মাপের ব্রা, ওজন নিয়ন্ত্রণ, পুষ্টি, ধূমপান পরিহার, এবং সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখার মতো অভ্যাসগুলো ব্যায়াম ছাড়াই স্তনের ঝুলে যাওয়া কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- ত্বকের যত্ন এবং সঠিক হাইড্রেশনও গুরুত্বপূর্ণ।
- যদি প্রয়োজন হয়, প্লাস্টিক সার্জারিও বিবেচনা করা যেতে পারে, তবে এটি সর্বশেষ বিকল্প হিসেবে দেখাই ভালো।
সঠিক ব্রা কিভাবে বাছাই করব?
সঠিক ব্রা বাছাই করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি শুধুমাত্র আরাম দেয় না, বরং স্তনকে সঠিক সমর্থন দেওয়ার মাধ্যমে স্তনের ঝুলে যাওয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে। একটি সঠিক ব্রা বাছাই করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হবে। নিচে সঠিক ব্রা বাছাই করার ধাপগুলো দেওয়া হলো: মেয়েদের ব্রেস্ট ঝুলে যাওয়ার কারণ
১. সঠিক মাপ জানুন (Measuring Bra Size)
- প্রথম ধাপ হচ্ছে নিজের সঠিক ব্রা মাপ জানা। এটি জানার জন্য দুটি প্রধান মাপ নিতে হয়:
- ব্যান্ড সাইজ (Band Size): মেপ-ফিতার সাহায্যে বুকের ঠিক নিচে (ব্রার ব্যান্ড যেখানে থাকে) মাপ নিন। ফিতা বুকের চারপাশে সোজা করে রাখুন। যদি মাপটি সমসংখ্যা হয়, সেটিই আপনার ব্যান্ড সাইজ। আর যদি বিজোড় সংখ্যা হয়, তবে কাছাকাছি সম সংখ্যাটি বেছে নিন।
- ব্রেস্ট সাইজ (Cup Size): এবার ফিতা দিয়ে স্তনের সবচেয়ে পূর্ণ অংশ (বুকের মাঝখানে, নিপলের উপরে) মাপুন। ব্যান্ড সাইজ এবং কাপ সাইজের মাপের পার্থক্য হিসেব করে আপনার কাপ সাইজ বের করুন। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার ব্যান্ড সাইজ ৩৪ এবং ব্রেস্ট সাইজ ৩৭ হয়, তাহলে পার্থক্য ৩ (৩৭-৩৪), যা “C” কাপ নির্দেশ করে। মেয়েদের ব্রেস্ট ঝুলে যাওয়ার কারণ
কাপ সাইজের পার্থক্য:
- ১ ইঞ্চি পার্থক্য = A কাপ
- ২ ইঞ্চি পার্থক্য = B কাপ
- ৩ ইঞ্চি পার্থক্য = C কাপ
- ৪ ইঞ্চি পার্থক্য = D কাপ
- ৫ ইঞ্চি পার্থক্য = DD কাপ
২. ব্রা পরার সময় আরাম অনুভব করুন
- ব্রা পরার পর যদি ব্যান্ডটি আরামদায়কভাবে ফিট করে এবং ত্বকে কেটে না যায় বা বেশি টাইট না হয়, তাহলে সেটি সঠিক ব্যান্ড সাইজ। ব্যান্ডের ৮০% সাপোর্ট স্তনকে ধরে রাখে, তাই ব্যান্ডটি ঠিকঠাক ফিট হওয়া জরুরি।
- ব্রা ফাঁপা বা খুব ঢিলেঢালা হলে এটি স্তনের সঠিক সাপোর্ট দিতে পারে না। সঠিক কাপ সাইজ স্তনের চারপাশে ভালোভাবে ফিট হবে এবং ফাঁকা জায়গা থাকবে না। মেয়েদের ব্রেস্ট ঝুলে যাওয়ার কারণ
৩. কাঁধের স্ট্র্যাপ পরীক্ষা করুন
- স্ট্র্যাপগুলোও সঠিকভাবে ফিট হওয়া জরুরি। এটি খুব ঢিলেঢালা বা বেশি টাইট হওয়া উচিত নয়। যদি স্ট্র্যাপগুলি আপনার কাঁধে চেপে যায় এবং অস্বস্তিকর হয়, তাহলে এটি ঠিক নয়। আবার খুব ঢিলা হলে সাপোর্ট কমে যায়।
- স্ট্র্যাপের দৈর্ঘ্য নিয়মিত সামঞ্জস্য করে নিন যাতে আরামদায়ক অনুভূতি হয়। মেয়েদের ব্রেস্ট ঝুলে যাওয়ার কারণ
৪. ব্রার মধ্যবর্তী অংশ (Gore) ঠিকঠাক বসছে কিনা দেখুন
- ব্রার সামনের মধ্যবর্তী অংশ (গোর) বুকের সাথে মিশে থাকা উচিত। যদি এটি ত্বকের সাথে ঠিকঠাক বসে না থাকে এবং ফাঁক থাকে, তাহলে কাপ সাইজ ঠিক নয়। মেয়েদের ব্রেস্ট ঝুলে যাওয়ার কারণ
৫. সঠিক শৈলী (Style) বেছে নিন
- বিভিন্ন আকার ও শৈলীর ব্রা আছে, যেমন ফুল-কভারেজ, ডেমি-কাপ, পুশ-আপ, টি-শার্ট ব্রা ইত্যাদি। আপনার স্তনের আকার, পোশাক এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ব্রার শৈলী নির্বাচন করুন।
- ফুল-কভারেজ ব্রা: বড় স্তনের জন্য ভালো সাপোর্ট দেয়।
- ডেমি-কাপ ব্রা: ছোট বা মাঝারি স্তনের জন্য।
- পুশ-আপ ব্রা: স্তনের আকার বাড়িয়ে প্রদর্শন করতে সহায়ক।
- স্পোর্টস ব্রা: ব্যায়ামের সময় ব্যবহার করার জন্য, যাতে স্তনের অতিরিক্ত নড়াচড়া রোধ করা যায়।
৬. ফিটিংয়ের পর পরীক্ষা করুন
- নতুন ব্রা পরার পর কিছুক্ষণ হাঁটুন এবং হাত নাড়াচাড়া করে দেখুন। ব্রা ঠিকঠাক ফিট হলে এটি শরীরের সাথে মিশে থাকবে এবং কোনো অস্বস্তি বা টানটান ভাব থাকবে না। মেয়েদের ব্রেস্ট ঝুলে যাওয়ার কারণ
৭. ব্রা পরিবর্তনের সময় বুঝুন
- একটি ব্রা দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করলে এর ইলাস্টিসিটি কমে যেতে পারে এবং সাপোর্ট কমে যায়। যদি ব্যান্ড টাইট করতে করেও ব্রা সঠিকভাবে ফিট না হয় বা কাপ ফাঁপা হয়, তবে ব্রা পরিবর্তন করার সময় এসে গেছে। মেয়েদের ব্রেস্ট ঝুলে যাওয়ার কারণ
৮. বিভিন্ন ব্রা ট্রাই করুন
- একই সাইজের ব্রা বিভিন্ন ব্র্যান্ডে বিভিন্নভাবে ফিট হতে পারে। তাই কিছু ব্রা ট্রাই করে দেখুন কোনটি আপনার জন্য সবচেয়ে আরামদায়ক এবং সাপোর্টিভ। মেয়েদের ব্রেস্ট ঝুলে যাওয়ার কারণ
সারসংক্ষেপ:
- মাপ নেওয়া: সঠিক ব্যান্ড ও কাপ সাইজ জেনে নিন।
- আরাম: ব্রা পরার পর ফিট এবং আরামের দিকে খেয়াল রাখুন।
- ব্রার স্টাইল: আপনার দৈনন্দিন জীবনযাপন এবং স্তনের আকার অনুযায়ী শৈলী বেছে নিন।
- নিয়মিত পরিবর্তন: সময়ে সময়ে ব্রা পরিবর্তন করতে ভুলবেন না।