আলু চাষের পদ্ধতি
আমাদের দেশে আলু একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল। এই ফসল আমাদের দেশের মানুষের অধি কাংস খাবারের চাহিদা মেটায়। সাধারণত এই ফসল গম ভুট্রা ধানের পরের স্থান। এই ফসল জমি ভিত্তিক উতপাদন হয়ে থাকে। এই আলু বেশি চাষ হয় মুন্সিগঞ্জে ও রংপুরে। দিন দিন এর চাহিদা বেরে যাওআয় প্রায় এখন অনেক পড়িমাব আলু চাষের দিকে মানুষ ধুগছে। আলুর বর্তমান বাজার প্রায় কেজি ৪৫ টাকা আলুর বাজার বর্তমান অনেক টা বেরে গেছে। মুলত মানুষ অধিক লাভবান হওয়ার জন্য আলু চাষে ঢুকছে।
মাটি নির্বাচন
যে কোনো মাটিতে আলু চাষ করা যায় তবে অধিক ফলন পেতে হলে। বেলে, ও দো আস মাটিতে আলু চাষ করা উত্তম কারণ এই মাটিতে আলু চাষে ফালো ফলন পাওয়া যায়। আলু চাষ করতে হয় উচু থেকে মাঝারি উচু জমি তে কাড়ন জমি তে পানি জমে থাকলে আলু চাষে অনেক খতি হয়। যেমন আলু পচে যায় , ঘুগরি রোগ হয় আলু বড় হয় না গাছ মরে যায় ইত্যাদি। আলু চাষের পদ্ধতি
আরো দেখুন…
- আলোচিত কন্টেন ক্রিয়েটর ইসমাইল হোসেন গ্রেফতার
- তুফান মুভি শাকিব খান । তুফান মুভি কিভাবে দেখবেন
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় যেই কাজ গুলো করলে ত্বকের উজ্জলতা বাড়বে
- Kalki Movie Review । kalki full movie watch online
জমি পস্তুত
আলু চাষে অনেক গুরুত্ব পুর্ন ভুমিকা রাখে জমি পস্তুত করতে কারণ জমি ভালো ভাবে পস্তু না করলে জমিতে ফলন ভালো পাওয়া যাবেনা। প্রথমে এক চাষ দিতে হবে ,তার পর জখন জমে থাকা ঘাস গুলো মারা গিয়ে সুকিয়া যাবে। তার পর আবার আরো একটা চাষ দিতে হবে। বড় বড় চাক গুলে গুরো করে দিতে হবে। আলু চাষের পদ্ধতি
দুই চাষ দেওয়ার পর কিছুদিন রেখে দিতে হবে মাটি গুলো সুকিয়া যাওয়ার পর আরো দুটো চাষ দিয়ে মাটি গুলো পাওডারের মত করে নিতে হবে। তার পর আলু লাগানোর আগে জমি তে ভালো করে মই দিতে হবে দিয়ে জমিটা সমান করে নিতে হবে। এই ভবে জমি পস্তুত করে নিতে হবে। আলু চাষের পদ্ধতি
আলু চাষের উপযুক্ত সময়
মধ্য কার্তিক থেকে মধ্য- অগ্রাহায়ণ (নভেম্বর মাসে ) আলু চাষের উপযুক্ত সময়। আলু চাষ সম্পুর্ন সেশ করতে সময় লাগে ৯০/১০০ দিন। বা কারো কম বেশি হতে পাড়ে তবে সঠিক সময় এটি।
আলু চাষে কীটনাশক
দেশের বিভিন্ন স্থানে মাটির উর্বরতা বিভিন্ন রকমের , এই জন্য সারের চাহিদা সকল জমির জন্য সমান নয়। স্থান ভেদে প্রতি বিঘা
আলু চাষে সার প্রয়গ
- (৩৩ শতক )
- ইউরিয়া : ৪৪-৪৮ কেজি
- টি এস পি : ২৭-৩০ কেজি
- এম ও পি : ৩৩-৪০ কেজি
- জিপসাম : ১৩-১৬ কেজি
- জিং সালফেট : ১কেজি ৩০০ গ্রাম
- ম্যগনেসিয়াম : ১৮-২০ কেজি
- বোরন : ১কেজি
- গবর সার : ১২০০-১৩০০ শ কেজি
গবর ও জিংক সেশ চাষের সময় জমিতে মিশিয়ে দিতে হবে। অর্ধেক ইউরিয়া , সম্পুর্ন টি এস পি , এম ও পি, জিপসাম , ম্যগনেসিয়াম সালফেট ও বরন সার রোপনের সময় সারির দুই পাশে মিশিয়ে দিতে হবে। বাকি ইউরিয়া রোপনের ৩০/৩৫ পর অর্থাত দ্বিতীয় বার মাটুর তোলার সময় উপরে প্রয়গ করতে হবে। আলু চাষের পদ্ধতি
আলুর ফলন বৃদ্ধির উপায়
- আলুর বিজ নির্বাচন।
- জমির মাটি নির্বাচন
- পরিমান মত কীটনাশক ব্যবহার
- সেচ পদ্ধতি
- পোকামাকর দমন করা
আলুর ফলন বৃদ্ধির উপায়
আলুর বীজ নির্বাচন
ডায়মন্ড , হীরা, অহলসা, পেট্রোনিস, চমক , কার্ডিনাল , মুল্টা। এই আলু গুলো আপনার ভালো ফলন দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। তবে এদের মধ্যো সব চাইতে ভালো ফলন দেয়। ডাইমন্ড কার্ডিনাল আলু। এই আলু চাষ সহজ ও ফলন বেশি। আলুর ফলন বৃদ্ধির উপায়
আগাম আলু চাষের সময়
আগাম আলু চাষ সাধারণত অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যে করা হয়। এই সময়টায় আবহাওয়া আলু চাষের জন্য উপযুক্ত থাকে এবং পর্যাপ্ত মাটি আর্দ্রতা পাওয়া যায়। চাষের সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মাথায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ:
- মাটি প্রস্তুতি: আগাম আলু চাষের জন্য মাটি ভালোভাবে চাষ করে নিতে হবে। মাটি ঝরঝরে এবং জলনিকাশি ক্ষমতা ভালো থাকা উচিত।
- বীজ বপন: উন্নত মানের, স্বাস্থ্যকর বীজ ব্যবহার করা উচিত। বীজের জন্য চারা (seed potato) ব্যবহার করা হয়।
- সার প্রয়োগ: মাটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে সার প্রয়োগ করতে হবে। কম্পোস্ট এবং রাসায়নিক সার ব্যবহার করে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করাযায়।
- জলসেচ: আলু গাছের ভালো বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত জলসেচ করতে হবে, বিশেষ করে শুষ্ক সময়গুলোতে।
- রোগ ও পোকামাকড় প্রতিরোধ: আগাম আলু চাষের সময় বিভিন্ন রোগ এবং পোকামাকড় থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।এভাবে আগাম আলু চাষ করে সঠিক সময়ে ফসল তোলা সম্ভব হয়।
আলু চাষের পদ্ধতি ভিডিও
আমাদের সাথে ফেসবুক এ যোগাযো গরতে পাড়েন